বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালিতে বাঁধা দেয়া ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী সুমন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলাটি করেন বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদা শারমিন। মামলার আসামি সুমন হোসেন বেনাপোল গ্রামের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি ও বন্দরের বিভিন্ন শেট ইনর্চাজের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। কাস্টমস হাউজের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি ও তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে বন্দরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বন্দরে প্রবেশ করে পাসেপার্ট যাত্রীদের লাইন ছাড়া দ্রুত ভারতে পার করে দেয়ার কথা বলে ২/৩ হাজার টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে প্রতিনিয়ত। বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গত ২ সেপ্টেম্বর পোর্ট থানায় দায়ের করলেও মামলাটি বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এন্ট্রি করা হয় বলে মামলার জানান মামলার বাদী।
বন্দরের উপপরিচালক মো. রাশেদুর সজিব নাজির জানান, সুমন ফেসবুক ও অনলাইনে বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম ও বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল মন্তব্য প্রচার করে কর্মকর্তাদের মানহানি করে।
বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম জানান, গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়াম্যান মো. জিল্লুর রহমান বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসলে সুমন দলবল নিয়ে তাকে বন্দরের গেস্ট হাউসে ঘেরাও করে আটকে রাখে। স্থলবন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা প্রবিধানমালা অনুযায়ী স্থলবন্দরকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সমুন ভক্ত জানান, বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সুমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে গতকল অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করা হয়। যার মামলা নাম্বার -০৫ তাং: ১১/০৯/২৪।
বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষকেও বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগে ইতোমধ্যে কাস্টম হাউসে সুমনের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানান বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আ. হকিম।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, সুমন বিভিন্ন সময় বেনাপোল বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকী দিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চাঁদাবাজি করে আসছে। আমরা অফিসাররা তাকে বাধা দিলে সে আমাকেসহ বন্দরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও অনলাইনে মানহানিকর মন্তব্য করেন।
টিএইচ